Advertisement

Responsive Advertisement

কোরান ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ, তাহলে হাদিস কী?

 আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি।

কোর'আন মাজীদ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মানবজাতির জন্য নাজিলকৃত গ্রন্থ। আর হাদীস শব্দের অর্থ হলো বাণী। যদিও অনেকে হাদীসকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী বলে থাকেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোর'আন ও হাদীস উভয়ই আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তা'আলার বানী।



কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের থেকে কিছুই বলেন না। উনি যা বলেন তা তো আল্লাহর ওহী।

তাহলে কোর'আন ও হাদীসের মধ্যে পার্থক্য কি?
কোর'আন ও হাদীসের মধ্যে পার্থক্য হলো কোর'আন (আরবী) সরাসরি আল্লাহর বানী, আল্লাহর ভাষাতেই। যেমন, কোরআনে বলা হয়েছে, قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
অনুবাদঃ বল, তিনি আল্লাহ, এক অদ্বিতীয় (qur'an, 112:1)
এখানে আল্লাহ যা বলেছেন, তা জিবরীল বা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেউ একটি শব্দও পরিবর্তন করেননি।

আর হাদীসের মধ্যে ভাব হলো আল্লাহর, আর ভাষা হলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর।

আর হাদীসের মধ্যে দু ধরনের হাদীস আছে। এক, হাদীসে কুদসী আর দুই, হাদিসে নববী।
হাদীসে কুদসী হলো সে সকল হাদীস যেগুলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন। যেমনঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেছেন, …. এরকম হাদীস গুলো হাদীসে কুদসী। আর এই হাদীস গুলো ব্যাতিত বাকি যেসকল হাদীস রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করা হয়েছে সব হাদিসে নববী। হাদীসের মধ্যে অনেক প্রকারভেদ আছে।

হাদীসে কুদসী ও অন্যসব হাদীসের মধ্যে তফাৎ হলো, হাদিসে কুদসীর কথা গুলো আল্লাহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলেছেন।
আর, কোর'আনকে বলা হয় বড় ওহী, আর হাদীসকে বলা হয় ছোট ওহী।

কোর'আন ও সহীহ হাদীস দুটোই ইসলামের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ। কোরআন ও সহীহ হাদিস দুটোরই সকল আদেশ নিষেধ অনুসরণ সকল মুসলিমের কর্তব্য…

হাদীস রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে লিপিবদ্ধ করেন নি, কারন তখন কোর'আন নাজিল হচ্ছিল ও সেটা লিখে রাখা হচ্ছিল। আশংকা করা হয়েছিল যে কোর'আনের সাথে হাদীস মিশে যেতে পারে। তখন থেকে হাদীস মুখস্থ রাখতেন সাহাবীরা। পরবর্তীতে বিভিন্ন ইমামগণ হাদিস সংকলন করার কাজ হাতে নেন যেহেতু তখন আর কোর'আনের সাথে মিক্স হওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা। যেমন, ইমাম আহমাদ এর 'মুসনাদ' হাদীসের বিশাল সংগ্রহ। আর সহীহ বুখারী ও মুসলিম হলো শতভাগ সহীহ হাদিস নিয়ে সংকলিত গ্রন্থ। তারপর হাদীসের আরো অনেক গ্রন্থ আছে, যেমন সুনান আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ ইত্যাদি। হাদীসের মান অনুসারে সে হাদীস গুলো অনুসরণ যোগ্য কিনা সেটা বিচার করা হয়। যেমন, সহীহ, হাসান ইত্যাদি সাধারনত ফলো করার মান। আর জাল, দঈফ/যঈফ এগুলোর ওপর আমল করা হয় না।

বিস্তারিত লিখতে গেলে বিশাল বই হয়ে যাবে। সংক্ষেপে লিখলাম, লিখার গুন ভালোনা, তাই অগোছালো হয়েছে। আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে, কুরআন বোঝার মূলনীতি, হাদীসের মূলনীতি ইত্যাদি বই অনলাইনে পিডিএফ আছে, হার্ড কপিও পাবেন, পড়তে পারেন।

জাযাকাল্লাহু খায়ের কস্ট করে পড়ার জন্য, প্রশ্ন ও সাজেশন, কারেকশন থাকলে কমেন্টে জানাবেন।

Post a Comment

0 Comments