ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে কোন জোরজবস্তি নেই। কেউ কাউকে জোর করে ধরমান্তরিত করে না। এরকম কথা আমরা অনেক শুনে থাকি। কিন্তু শরীয়ত বলে যে রিদ্দা(ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করা) করবে তাকে হত্যা করো এটা কি সঠিক।
মুরতাদ হত্যার বিষয়টি এসেছে ইহুদী কিতাব ডিউটেরনমি থেকে সেখানে বলা হয়েছেঃ
যদি কেহ বলে চল আমরা অন্য কোন স্রষ্টার সেবা করি তবে তাহাকে হত্যা করিবে তাহাকে নিশ্চয়ই পাথরের আঘাতে হত্যা করিবে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা তার কোরয়ানে বলছেনঃসুরা ইউনুস ৯৯– “তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তি করিবে ইমান আনিবার জন্য?”
কাহ্ফ ২৯– “যার ইচ্ছা বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক।”,
নিসা ৮০– “আর যে লোক বিমুখ হইল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ!) তাহাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করি নাই।”
বাকারা ২৫৬– “ধর্মে জোর-জবরদস্তি নাই।”
বরং মুরতাদের ব্যাপারে কিছু আয়াত আছে তাতে তাদের খুন করতে বলা হয় নাই। যেমনঃ
নিসা ১৩৭– “যাহারা একবার মুসলমান হইয়া পরে আবার কাফের হইয়া গিয়াছে, আবার মুসলমান হইয়াছে এবং আবার কাফের হইয়াছে এবং কুফরিতেই উন্নতি লাভ করিয়াছে, আল্লাহ তাহাদের না কখনও ক্ষমা করিবেন, না পথ দেখাইবেন।”
আমরা হাদীস বলতে জানি রাসূল সাঃ এর কথা কাজ ও তা মৌনসম্মতিকে হাদীস বলে। এবং তিনি কখনো কোন মুরতাদকে হত্যা করতে নির্দেশ দেননি। তবে তিনি অন্যান্য অপরাধে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাসুলের (সা.) ওহি-লেখক আবদুলা বিন সা’আদ মুরতাদ হয়ে মদিনা থেকে মক্কায় পালিয়ে গিয়েছিল এবং পরে ধরা পড়েছিলেন। হজরত ওসমান (রা.) পরে তাকে মিসরের গভর্নর করেছিলেন।
আবার অন্য এক হাদীসে আছেঃ
জাবির বিন আবদুলা বলেন, এক বেদুইন আল্লাহর রাসুলের (সা.) কাছে বায়াত গ্রহণ করিল। পরে মদিনায় তাহার জ্বর হইলে সে আলাহর রাসুলের (সা.) নিকট আসিয়া বলিল, ‘হে আলাহর রাসুল (সা.), আমার বায়াত ফিরাইয়া দিন।’ রাসুল (সা.) সম্মত হইলেন না। তারপর সে আবার আসিয়া বলিল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমার বায়াত ফিরাইয়া দিন।’ রাসুল (সা.) সম্মত হইলেন না। তারপর সে আবার আসিয়া বলিল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমার বায়াত ফিরাইয়া দিন।’ রসুল (সা.) সম্মত হইলেন না। তারপর সে মদিনা ছাড়িয়া চলিয়া গেল।
আর অপ্রসাংগিক অস্পষ্ট একগোড়া উত্তর দিয়ে কাউকে ধর্মাবলম্বীদেরকে বিভ্রান্ত করবেন না দয়া করে।
আবারো বলছি ইসলাম কাউকে জোরজবস্তি করে নাই।
0 Comments